২০২৫ সালের শীতকালে বাংলাদেশে কয়টি শৈত্যপ্রবাহ হবে এবং সেগুলো কতদিন স্থায়ী হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য এবং আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে একটি ধারণা দেওয়া যেতে পারে:
শৈত্যপ্রবাহ কতদিন থাকবে ২০২৫
**২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে:**
* আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
* একটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
* একটি শৈত্যপ্রবাহ তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
* কোনো কোনো শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, এমনকি ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
**২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে:**
* ফেব্রুয়ারি মাসেও ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে ১-২টি মৃদু এবং ১টি মাঝারি হতে পারে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।
**সাধারণভাবে শৈত্যপ্রবাহের সময়কাল:**
* বাংলাদেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীত থাকে এবং এই সময়েই শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়।
* একেকটি শৈত্যপ্রবাহ সাধারণত তিন থেকে সাত দিন বা তার বেশি স্থায়ী হতে পারে।
সুতরাং, ২০২৫ সালের শীতকালে বেশ কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কোনো কোনোটি কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। তবে, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
ডিসেম্বর মাস থেকে শীত শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে সাধারণত জানুয়ারি মাসেই সবচেয়ে বেশি শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে শৈত্যপ্রবাহের চিত্রটি ছিল নিম্নরূপ:
* **জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ:** দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ২-৩ দিন কুয়াশার দাপট ছিল এবং শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়।
* **জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ:** ৯ জানুয়ারি থেকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যা তিন-চার দিন স্থায়ী হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল।
* **জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ:** এই সময়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি শীতের অনুভূতি বেশি ছিল এবং উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে পূর্বাভাস ছিল। এরপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছিল।
বর্তমানে এপ্রিল মাস চলছে। সাধারণত বাংলাদেশে শীতকাল ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। তাই, **এই মুহূর্তে (এপ্রিল ২০২৫) বাংলাদেশে কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই এবং আগামীতে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনাও নেই**।
শৈত্যপ্রবাহ সাধারণত শীতকালেই (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) দেখা যায় এবং এর স্থায়িত্ব কয়েক দিন পর্যন্ত হতে পারে।
إرسال تعليق