থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২৫

 





থার্টি ফার্স্ট নাইট, অর্থাৎ ৩১শে ডিসেম্বরের রাত, বিশ্বজুড়ে ইংরেজি নববর্ষের আগমনকে উদযাপন করার একটি বিশেষ রাত। বাংলাদেশেও এই রাতটি বিভিন্নভাবে পালিত হয়। তবে, ২০২৫ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কিছু বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।


থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২৫


**ডিএমপির নির্দেশনা:**


* অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।

* ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

* ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১লা জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে।

* আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।

* ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১লা জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।

* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব স্ব এলাকায় ফিরতে হবে এবং এরপর প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

* গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসকারীদের ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে।

* রাত ৮টার পর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে, সেখানকার বাসিন্দারা কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলি ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

* হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং যানবাহন থামিয়ে বা পার্কিং করে অবস্থান করা যাবে না।

* সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী নন এমন ব্যক্তিদের ওই এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

* উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো গান-বাজনা চালানো যাবে না।


ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়েছে।


অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১লা জানুয়ারি সকাল ৫টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথগুলোতে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


সাধারণভাবে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেমন কনসার্ট, ডিজে পার্টি, ফায়ারওয়ার্কস ইত্যাদি। তবে, ডিএমপির কঠোর নির্দেশনার কারণে উন্মুক্ত স্থানে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হবে না। আবাসিক হোটেল এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত স্থানে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।


নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং শহরের শান্তি বজায় রাখার জন্য ডিএমপির এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে। তাই, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় সবাইকে এই নিয়মাবলী মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

Post a Comment

أحدث أقدم