বেদের মেয়ে জোসনা ।। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী লোককাহিনী-ভিত্তিক চলচ্চিত্র।

 বেদের মেয়ে জোসনা



বেদের মেয়ে জোসনা ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী লোককাহিনী-ভিত্তিক চলচ্চিত্র। তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা।

কিছু তথ্য:

  • মুক্তি: ৯ জুন, ১৯৮৯
  • পরিচালক: তোজাম্মেল হক বকুল
  • অভিনয়ে: ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু ঘোষ, মিঠুন, ফারজানা ববি, সাইফুদ্দিন, নাসির খান, শওকত আকবর, প্রবীর মিত্র, রওশন জামিল, দিলদার প্রমুখ।
  • কাহিনী: বঙ্গরাজের কাজী সাহেবের দশ বছর বয়সী মেয়ে জোসনাকে সাপে কামড়ায়। তাকে বাঁচানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। ভাসতে ভাসতে ভেলা এক বেদে বহরের কাছে থামে। বেদে বহরের সর্দার তাকে নিজের নাতনীর মতো বড় করে তোলে এবং সাপের বিষ নামানোর কৌশল শেখায়। অন্যদিকে, রাজার উজিরের ছেলে মোবারক জোসনাকে পেতে চায়, কিন্তু রাজপুত্র আনোয়ার তাকে রক্ষা করে এবং ভালোবেসে ফেলে। একসময় আনোয়ারকে সাপে কামড়ালে জোসনা তার বিদ্যা দিয়ে তাকে বাঁচায় এবং রাজবাড়িতে গিয়ে আনোয়ারকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজা অসন্তুষ্ট হন এবং বেদে বহরকে রাজ্য থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর নানা ঘটনা unfold হয়।
  • জনপ্রিয়তা: এই সিনেমাটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, এর গান "বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে" মুক্তির আগেই ব্যাপক হিট হয়। এমনকি এই সিনেমার গানের অডিও ক্যাসেট মুক্তির এক মাসের মধ্যে এক লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল।
  • ব্যবসায়িক সাফল্য: "বেদের মেয়ে জোসনা" বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • পুনর্নির্মাণ: সিনেমাটি ভারতেও "বেদের মেয়ে জোসনা" নামেই পুনর্নির্মিত হয়েছিল, যেখানে অঞ্জু ঘোষ একই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং ইলিয়াস কাঞ্চনের স্থলে ছিলেন চিরঞ্জিত।

"বেদের মেয়ে জোসনা" শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মাইলফলক যা আজও দর্শক হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।

বেদের মেয়ে জোসনা একটি জনপ্রিয় বাংলা লোককথা এবং এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র। এই গল্পটি এক বেদে (যাযাবর) সম্প্রদায়ের মেয়ে জোসনা এবং এক রাজকুমারের প্রেম নিয়ে আবর্তিত।

গল্পের মূল বিষয়:

  • জোসনা, একজন বেদে রাজার অধীনে বসবাসকারী এক সাহসী এবং গুণী মেয়ে।
  • একদিন রাজকুমার আনোয়ার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন।
  • জোসনা তার বিশেষ দক্ষতা দিয়ে রাজকুমারের জীবন বাঁচায়।
  • এই ঘটনার পর राजकुमार আনোয়ার এবং জোসনা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
  • তবে তাদের এই সম্পর্ক সামাজিক ও শ্রেণীগত ভেদাভেদের কারণে বিভিন্ন বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
  • রাজা তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং জোসনাকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেন।
  • অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত राजकुमार আনোয়ার এবং জোসনা তাদের ভালোবাসার জয় করে এবং একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করে।

এই লোককথা এবং এর চলচ্চিত্রায়ণ উভয়ই দর্শকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি সম্ভবত বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

আপনি যদি এই বিষয়ে আরও কিছু জানতে চান, যেমন চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রী বা মুক্তির সাল, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।


Post a Comment

أحدث أقدم