কোরবানির ঈদ ২০২৫

 


কোরবানির ঈদ ২০২৫

জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মধ্যপ্রাচ্যে ৬ই জুন, ২০২৫ (শুক্রবার) তারিখে উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণত, মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয়। সেই হিসেবে, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ ৭ই জুন, ২০২৫ (শনিবার) তারিখে হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, ঈদ কবে পালিত হবে তা সম্পূর্ণরূপে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

সরকারিভাবে চাঁদ দেখার পরই কোরবানির ঈদের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে। তাই, চূড়ান্ত তারিখের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এবং ঢাকা, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ ৭ই জুন, ২০২৫ (শনিবার) তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, ঈদ কবে পালিত হবে তা সম্পূর্ণরূপে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

সরকারিভাবে চাঁদ দেখার পরই কোরবানির ঈদের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এবং এই মুহূর্তে (২৪শে এপ্রিল, ২০২৫) বাংলাদেশে ২০২৫ সালের পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ ৭ই জুন, ২০২৫ (শনিবার) তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, ঈদ কবে পালিত হবে তা সম্পূর্ণরূপে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

সরকারিভাবে চাঁদ দেখার পরই কোরবানির ঈদের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে।


জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ বাংলাদেশে ৭ই জুন, ২০২৫ (শনিবার) তারিখে পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ঈদ সম্পূর্ণরূপে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল, তাই সরকারি ঘোষণা আসার পরই সঠিক তারিখ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।

কোরবানির ঈদের তাৎপর্য:

কোরবানির ঈদ মূলত আল্লাহর প্রতি হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর অসামান্য আনুগত্য ও ত্যাগের স্মৃতি ধারণ করে। আল্লাহ তাআলার আদেশে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। আল্লাহর এই পরীক্ষায় হযরত ইব্রাহিম (আঃ) উত্তীর্ণ হন এবং আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে পুত্র ইসমাঈলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি করার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা হয়।

কোরবানির প্রধান তাৎপর্যগুলো হলো:

  • আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ: কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর হুকুমের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে।
  • ত্যাগ ও উৎসর্গ: নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি হয়।
  • সহানুভূতি ও সহমর্মিতা: কোরবানির মাংস আত্মীয়-স্বজন, গরিব-দুঃখী ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করার মাধ্যমে সমাজে সহানুভূতি ও সহমর্মিতার সৃষ্টি হয়।
  • ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব: এই ঈদ মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

কোরবানির নিয়মকানুন:

ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কোরবানি করার জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • কোরবানির পশু: উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কোরবানি করা যায়।
  • পশুর বয়স: ছাগল ও ভেড়ার বয়স কমপক্ষে এক বছর, গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর এবং উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে।
  • পশুর সুস্থতা: কোরবানির পশু রোগমুক্ত ও ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
  • কোরবানির সময়: জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা উত্তম।
  • কোরবানির নিয়ত: কোরবানি করার সময় নিয়ত করা জরুরি।
  • বন্টন: কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে নিজে, পরিবার ও গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা উত্তম।

কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। তাই সামর্থ্যবান সকল মুসলিমের উচিত শরিয়াহর নিয়ম মেনে কোরবানি করা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন